- Get link
- X
- Other Apps
বর্তমানে এমন কোন নেতা আছে কিনা জানি না। তবে আমার মতে বাংলাদেশের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড নেতা, এবং নিঃস্বার্থ নেতা ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
তাজউদ্দিনের বুদ্ধিমত্তা, তার দূরদর্শিতা আমাকে সত্যিই অবাক করেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় তিনি না থাকলে হয়তো আমাদের স্বাধীনতা স্বপ্ন হয়ে থাকতো।
কিন্তু আমরা তাদের মতো নেতাদের যথাযথ সম্মান করতে পারি নাই। বিএনপি আওয়ামী লীগ করতে করতে আমরা এমন এক নেতাকে চাপা দিয়ে দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা কিংবা লুকিয়ে রাখছি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘটনা,
আমেরিকা যখন ভারতকে চাপ দিচ্ছিলো পাকিস্তানের এই যুদ্ধের একটি সমাধান করার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অজানা ছিলো এই যুদ্ধে ভারত কি পুরোপুরি সফল হবে কিনা। তখন ভারতকে আমেরিকা প্রস্তাব দেয়, বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে। বাংলার উত্তর অংশ ভারত শাসন করবে। আর দক্ষিণ অংশ পাকিস্তান শাসন করবে। ইন্দিরা গান্ধি এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন বলে জানান যায়। এমন সময় তাজউদ্দিন আহমেদ ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে দেখা করেন। এবং তিনি তাজউদ্দিনকে বলেন আমাদের হাতে সময় নেই । এক সপ্তাহ মতো সময় আছে এতে কি বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পারবেন। তাজ উদ্দিন এক কথায় বলেদিলেন হ্যা পারবো। তখন ইন্দিরা গান্ধি আমেরিকার প্রস্তাবের কথা জানায়। তখন তাজ উদ্দিন আহমেদ রেঁগে গিয়ে বলেন এমনটা কখনোই হতে পারে না। এমন যদি হতে হয় তা হলে তা আমার লাশের উপর দিয়ে হতে হবে। এবং তিনি ইন্দিরে গান্ধিকের আত্মহত্যার হুমকিও দিয়ে আসেন। (রেফারেন্স দিতে পারলাম না। শোনা কথাতো একটু এইদিক ওইদিক হতো পরে মাফ করবেন।)
শেখ মুজিব কেন তাজউদ্দীন আহমেদের মত ত্যাগি নেতাদের কেন তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারন করেছিলেন, দল থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন?
মানুষের একটি অদ্ভুদ মনস্ত্বাতিক ব্যাপার আছে? কারো সঙ্গে কারো ভালো সর্ম্পক দেখলে তৃতীয় কোন ব্যাক্তি তার মাঝে বাগড়া দিবে। এটাই সত্য। তাজউদ্দিন আহমেদ ও শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ম্পক আমার কাছে অস্পষ্ঠ। এখানে আমি আমার অনেক কিছু মনে হয়।( তা হয়তো আমি এখানে বলতে পারিনা।) তাজউদ্দিন আহমেদ বাকশাল নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করেছিল। এই কারনে নয় যে এটা খারাপ। কারণটা ছিল বাকশাল বঙ্গবন্ধুর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমি যতটুক জানি তাজউদ্দিন আহমেদ সমাজতান্ত্রীক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতো। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষন ব্যাক্তি। আমার চোখে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিচক্ষন ব্যাক্তি। যে কিনা ভবিষৎ দেখতে পারতেন, যা হয়তো আর কেউই পারতেন না। আর তাদের সর্ম্পক মাঝে খন্দকার মোশতাক তো রয়েছিল।
Comments
Post a Comment